Sunday, December 19, 2021

বাজারের এ মাথা থেকে ওমাথা মাঝখানে আধমরা ট্রাফিক পুলিশ কি করবে একা।

সড়ক কিংবা মহাসড়ক পুননির্মাণ এর কাজ চলাকালীন সময় যানজট হওয়া স্বাভাবিক, হতেই পারে। কিন্তু সব দায়িত্ব সরকারের মনে করে বসে থাকলে তখন যানজট হয়ে যায় অস্বাভাবিক বিষয়। 


প্রতিদিন অসম্ভব রকমের যানযট তৈরি হচ্ছে মনিরামপুর বাজারে। 


বাজারের এমাথা থেকে ওমাথা মাঝখানে আধ-মরা একজন ট্রাফিক পুলিশ। যিনি অবস্থান  করেন রাজগঞ্জ মোড়ে, যেখানে জনগনের প্রায় খিল এটে যায় পাশাপাশি  দুইটা দাদাভাই হোটেলের কোনটা আসল সেই চিন্তায়। দায়িত্বরত ট্রাফিক লোকটি যতেষ্ট চেষ্টা করেন যানজট তীব্র না হওয়ার জন্য। কিন্তু এটা তার একার পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব নয়। 


 মনিরামপুর উপজেলা এখন অতীতের তুলনায় অবেক দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। অনেক গুলো প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে, এবং  ইতিমধ্যে কয়েকটি শেষও হয়ে গেছে।  মহাসড়কের যে অংশটুকু বাজারের মধ্যে পড়েছে সেটুকু  অধিকতর মজবুত করার লক্ষ্যে উচু ঢালায় করা হচ্ছে, যেকারণে সময় বেশি লাগছে এবং যানজট বেশী হচ্ছে। কিন্তু এই বেশী যানজট তীব্র যানজটে পরিনত হয়ে যাচ্ছে বেশ কিছু কারণে... যেমন,




★এইরকম অবস্থায় অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ না থাকার কারনে। 


★ফুটপাত দখল করে থাকা অসংখ্য দোকানের কারণে। 


★প্রয়োজনে ব্যবহার করার মতো বাইপাস সড়ক না থাকার কারনে,  এবং যেগুলো আছে সেগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার না করার কারণে। 


★মাল ভর্তি নসিমন, করিমন ও আলমসাধু এবং  ইজিবাইক গুলো বাজারের মধ্যে প্রবেশের সময়সীমা না থাকার কারনে। 


★ যেখানে সেখানে যানবাহন পার্কিং করার কারণে। 


★ জনসাধারণ অধিকাংশ কেউই চলাচলের নিয়ম না মানার কারনে। 

যে যেভাবেই পারছে যাওয়ার চেষ্টা করতেছে। সবাই ব্যাস্ত আগে না গেলে পিছনে বাঘে খাবে এমন অবস্থা। 


★যাত্রীবাহী বাস এবং  পরিবহন স্টপেজ ছাড়াই যাত্রী ঊঠা নামার কাজ করে যাচ্ছে। 


চিত্র গুলি মনিরামপুর বাজারের রতন পাল (পাল ব্রাদার্স) এর সামনে থেকে তোলা। 


ফুটপাত দখল করে যিনি ফল বিক্রি করছেন উনার ফলের ঝুড়ির মাথা একরকম  মেইন রাস্তা উপরের এসে পড়েছে, ট্রকের চাকা ঝুড়ির কারণে বের হতে পারছেনা, কিন্তু এতে উনার কোন প্যাড়া নেই। অথচ পুরো বাজার জুড়ে জ্যাম সকাল থেকে রাত অব্দি লেগে থাকছে।  দুই মিনিটের পথ পার হতে লেগে যাচ্ছে ১ ঘন্টা। 


কোন ইমার্জেন্সি রোগী এম্বুলেন্স করে বাজার হতে গেলে মরার সম্ভাবনা তার বেড়ে ৯৫ তে ঠেকবে। 


এগুলো যাদের ঠিক করার দায়িত্ব আশা করি তারা দ্রুত ঠিক করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তা নাহলে আপনারা সরকারের টাকায় বেতন নিয়ে ঠিকঠাক কাজ করছেন না এই মর্মে মনিরামপুরের মাননীয় সংসদ ও প্রতিমন্ত্রী মহোদ্বয় বরাবর অভিযোগ প্রদানে বাধ্য থাকিবো। 



No comments:

Post a Comment