Friday, December 24, 2021

জীবন বাচাতে লঞ্চ থেকে লাফিয়ে প্রানে বাঁচেন ইউএনও এবং তার স্ত্রী।


ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামক যাত্রীবাহী লঞ্চের ইঞ্জিন থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ আল মুজাহিদ।  তিনি লঞ্চের ভিআইপি কেবিনের নীলগিরির যাত্রী ছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় লঞ্চ থেকে লাফিয়ে বাঁচায় সময় তার স্ত্রী উম্মুল ওয়ারার ডান পা ভেঙে গেছে। বর্তমানে তারা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বরগুনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। শতাধিকের বেশি যাত্রী আহত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৭২ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত ২০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


ইউএনও মোহাম্মদ আল মুজাহিদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ঢাকা থেকে অফিশিয়াল কাজ সেরে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় লঞ্চে বরগুনার আসছিলেন তিনি। রাত ৩টার দিকে লঞ্চে অন্য যাত্রীদের চিৎকারে তার ঘুম ভাঙে। এ সময় লঞ্চটি সুগন্ধা নদীর মাঝখানে অবস্থান করছিল। অনেককেই নদীতে লাফিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেন। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন লঞ্চ থেকে তারাও লাফ দিলে তৃতীয় তলা থেকে দোতলায় পড়ে যান। তখন তার স্ত্রী উম্মুল ওয়ারার ডান পা ভেঙে যায়। তিনি আরও বলেন, লঞ্চে থাকা বৃদ্ধ এবং শিশুরাই বেশি হতাহত হয়েছেন। এ ছাড়া লঞ্চে অনেক নারী ছিলেন যারা নদীতে লাফিয়ে পড়েছেন।

লঞ্চের কয়েকজন যাত্রী জানান, লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা ফিরছিলেন। ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালের ঠিক আগে গাবখান সেতুর কিছু আগে লঞ্চের ইঞ্চিনরুমে আগুন লেগে যায়। এরপর সেই আগুন পর্যায়ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে। এসময় যাত্রীরা অনেকেই নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছেন। অনেকে হয়তো পারেননি।

উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা গণমাধ্যমকে জানান, রাত তিনটার দিকে লঞ্চের ইঞ্জিনরুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে সে আগুন পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে। জীবন বাঁচাতে অনেক যাত্রী লঞ্চ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে হতাহতের সংখ্যা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লঞ্চটিতে প্রায় পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিল বলেও জানান উদ্ধার হওয়ারা। 

হোসাইন মোহাম্মদ আল মুজাহিদ তার কর্ম জীবনে এর আগে ইন্দুকান্দি উপজেলায় সহকারী ভুমি অফিসার এবং মনিরামপুর উপজেলায় ও সহকারী ভুমি অফিসার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। দুই উপজেলাতেই তিনি সৎ ও মেধাবী হিসেবে বেশ সুনাম অর্জন করে গেছেন। 

Sunday, December 19, 2021

বাজারের এ মাথা থেকে ওমাথা মাঝখানে আধমরা ট্রাফিক পুলিশ কি করবে একা।

সড়ক কিংবা মহাসড়ক পুননির্মাণ এর কাজ চলাকালীন সময় যানজট হওয়া স্বাভাবিক, হতেই পারে। কিন্তু সব দায়িত্ব সরকারের মনে করে বসে থাকলে তখন যানজট হয়ে যায় অস্বাভাবিক বিষয়। 


প্রতিদিন অসম্ভব রকমের যানযট তৈরি হচ্ছে মনিরামপুর বাজারে। 


বাজারের এমাথা থেকে ওমাথা মাঝখানে আধ-মরা একজন ট্রাফিক পুলিশ। যিনি অবস্থান  করেন রাজগঞ্জ মোড়ে, যেখানে জনগনের প্রায় খিল এটে যায় পাশাপাশি  দুইটা দাদাভাই হোটেলের কোনটা আসল সেই চিন্তায়। দায়িত্বরত ট্রাফিক লোকটি যতেষ্ট চেষ্টা করেন যানজট তীব্র না হওয়ার জন্য। কিন্তু এটা তার একার পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব নয়। 


 মনিরামপুর উপজেলা এখন অতীতের তুলনায় অবেক দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। অনেক গুলো প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে, এবং  ইতিমধ্যে কয়েকটি শেষও হয়ে গেছে।  মহাসড়কের যে অংশটুকু বাজারের মধ্যে পড়েছে সেটুকু  অধিকতর মজবুত করার লক্ষ্যে উচু ঢালায় করা হচ্ছে, যেকারণে সময় বেশি লাগছে এবং যানজট বেশী হচ্ছে। কিন্তু এই বেশী যানজট তীব্র যানজটে পরিনত হয়ে যাচ্ছে বেশ কিছু কারণে... যেমন,




★এইরকম অবস্থায় অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ না থাকার কারনে। 


★ফুটপাত দখল করে থাকা অসংখ্য দোকানের কারণে। 


★প্রয়োজনে ব্যবহার করার মতো বাইপাস সড়ক না থাকার কারনে,  এবং যেগুলো আছে সেগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার না করার কারণে। 


★মাল ভর্তি নসিমন, করিমন ও আলমসাধু এবং  ইজিবাইক গুলো বাজারের মধ্যে প্রবেশের সময়সীমা না থাকার কারনে। 


★ যেখানে সেখানে যানবাহন পার্কিং করার কারণে। 


★ জনসাধারণ অধিকাংশ কেউই চলাচলের নিয়ম না মানার কারনে। 

যে যেভাবেই পারছে যাওয়ার চেষ্টা করতেছে। সবাই ব্যাস্ত আগে না গেলে পিছনে বাঘে খাবে এমন অবস্থা। 


★যাত্রীবাহী বাস এবং  পরিবহন স্টপেজ ছাড়াই যাত্রী ঊঠা নামার কাজ করে যাচ্ছে। 


চিত্র গুলি মনিরামপুর বাজারের রতন পাল (পাল ব্রাদার্স) এর সামনে থেকে তোলা। 


ফুটপাত দখল করে যিনি ফল বিক্রি করছেন উনার ফলের ঝুড়ির মাথা একরকম  মেইন রাস্তা উপরের এসে পড়েছে, ট্রকের চাকা ঝুড়ির কারণে বের হতে পারছেনা, কিন্তু এতে উনার কোন প্যাড়া নেই। অথচ পুরো বাজার জুড়ে জ্যাম সকাল থেকে রাত অব্দি লেগে থাকছে।  দুই মিনিটের পথ পার হতে লেগে যাচ্ছে ১ ঘন্টা। 


কোন ইমার্জেন্সি রোগী এম্বুলেন্স করে বাজার হতে গেলে মরার সম্ভাবনা তার বেড়ে ৯৫ তে ঠেকবে। 


এগুলো যাদের ঠিক করার দায়িত্ব আশা করি তারা দ্রুত ঠিক করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তা নাহলে আপনারা সরকারের টাকায় বেতন নিয়ে ঠিকঠাক কাজ করছেন না এই মর্মে মনিরামপুরের মাননীয় সংসদ ও প্রতিমন্ত্রী মহোদ্বয় বরাবর অভিযোগ প্রদানে বাধ্য থাকিবো।